শিরোনাম

কুসিক নির্বাচন: কাউছারের শটগানের গুলিতে আহত সেই বাপ্পীর মৃত্যু  

প্রকাশনার সময়: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন নগরীর লুৎফুন্নেছা স্কুল কেন্দ্রের সামনে ঘড়ি ও বাস মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় বাপ্পী চন্দ্র দাস (২৫) নামের এক যুবক কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউছার খন্দকারের লাইসেন্স করা শটগানের গুলিতে আহত হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  নির্বাচনের দিন সংঘর্ষের একপর্যায়ে একটি গুলি গিয়ে পড়ে পথচারী বাপ্পী চন্দ্র দাসের (২৫) পেটে।  পরবর্তীতে তাকে আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত বাপ্পী চন্দ্র দাস কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা ধোপা পুকুরপাড় এলাকার মৃত দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিউর রহমান রাজিব।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওইদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউছার খন্দকারের লাইসেন্স করা শর্টগান তার গাড়ির ড্রাইভারের হেফাজতে ছিল। সংঘর্ষের সময় ড্রাইভার শটগানটি উঁচিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় একটি গুলি বের হয়ে পথচারী বাপ্পী চন্দ্র দাসের পেটে বিদ্ধ হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অবশেষে বুধবার ২০ মার্চ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।

মৃত্যুর বিষয় নিয়ে বাপ্পি চন্দ্র দাসের মা মিতন চন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলে কোন রাজনীতি করতো না। সে ওয়াইফাই লাইনের কাজ করতো। মাত্র ৮ মাস আগে তাকে বিয়ে করিয়েছি। নির্বাচনের দিন স্কুলের সামনে দিয়ে আমার ছেলে বাসায় আসছিল এমন সময় নির্বাচনের গেঞ্জামে আমার ছেলের পেটে গুলি লাগে। আমার ছেলের মৃত্যুর সঙ্গে যারা জড়িত আমি তাদের বিচার চাই।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিউর রহমান রাজিব বলেন, ছেলেটি ওয়াইফাই লাইনের কাজ করতো। নির্বাচনের দিন লুৎফুন্নেছা স্কুলের সামনে গুলাগুলির ঘটনায় ছেলেটির পেটে নাকি গুলি লাগে এমন কথা শুনেছি। আমি চাই যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন বলেন, বাপ্পি চন্দ্র দাস নামক যুবকের মৃত্যুর খবরটি পেয়েছি। পরিবার থেকে মামলা করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, ঘটনাটি বিভিন্নভাবে ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউছার খন্দকারের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাউছার খন্দকারকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।

মন্তব্য করুন